পায়ে লিখে গুচ্ছের ভর্তি যুদ্ধে অদম্য সুরাইয়া
- প্রকাশের সয়ম :
রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১
-
১৮৮
বার দেখা হয়েছে

বশেফমুবিপ্রবি সংবাদদাতা।। রবিবার (২৪ অক্টোবর) জামালপুরের মেলান্দহের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেফমুবপ্রবি) কেন্দ্রে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন অদম্য সুরাইয়া। সুরাইয়ার অস্পষ্ট ভাষা, ভাববিনিময় করতে হয় চোখের ইশারায়। হাত অকেজো থাকায় লিখছেন পা দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ২৮নং কক্ষের মেঝেতে মাদুরে বসে পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। এই কক্ষে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২৯ জন।কেন্দ্রটিতে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৭০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং ট্রেজারার জনাব মোহাম্মদ আবদুল মাননান ভর্তি পরীক্ষার হলসমূহ পরিদর্শন করেন।
সুরাইয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের শেরপুর। স্বপ্নপূরণে বাবা ছফির উদ্দিন ও মা মুর্শিদা ছফির সাথে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আসেন বশেফমুবিপ্রবিতে। সুরাইয়ার মা মুর্শিদা ছফির বলেন, তিন মেয়ের মধ্যে সুরাইয়া প্রথম। মেয়েটা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিন্তু তার জন্য আমি কখনোই মন খারাপ করিনি। মেয়েকে নিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনের গল্পটা সংগ্রামের। আমি চাই যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন তার এগিয়ে যাওয়ার পথে সঙ্গী হয়ে থাকব। আমার আশা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেয়ে উত্তীর্ণ হবে এবং একদিন বড় অফিসার হবে।
জানা গেছে, সুরাইয়া এসএসসিতে জিপিএ ৪.১১ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজলায়। বাবা পেশায় একজন শিক্ষক।
এদিকে, এদিকে নামের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের । অনেকেরই অভিযোগ দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের মিল থাকায় ভুলক্রমে জামালপুর শহরের বেসরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গিয়েছিলেন। এছাড়া একই ভুলে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করায় পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media